রাজ টেক্সটাইল মিলস্ কর্তৃপক্ষের উদ্যোগ ও আর্থিক পৃষ্ঠপোষকতায় রাজ টেক্সটাইল বে-সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় নামে একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চালু হয় ইং ১৯৮০ সালে। ১৯৮৬ সালের ১ জানুয়ারীতে বিদ্যালয়ে ৬ষ্ঠ শ্রেণী খোলা হয়। বিদ্যালয়টি ইং ০১/০১/২০০২ তারিখ থেকে নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় হিসাবে স্বীকৃতি লাভ করে এবং ইং ০১/০৫/২০০৪ তারিখে এমপিও ভুক্ত হয় । ইং ২০০৬ সালে উক্ত বিদ্যালয়টি যশোর বোর্ড কর্তৃক পাঠদানের অনুমতি লাভ করে। ফলে শিক্ষার্থীরা অত্র বিদ্যালয়ের নামেই এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে এবং ২০০৭ সালে যশোর শিক্ষা বোর্ড কর্তৃক অস্থায়ী স্বীকৃতি প্রাপ্ত হয়। অদ্যবধি মাধ্যমিক পর্যায় এমপিও ভুক্ত না হলেও শিক্ষার্থীরা এসএসসি পরীক্ষাসহ সকল পাবলিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে, সন্তোষজনক ফলাফল লাভ করে আসছে। গরীব মেধাবী ছাত্র/ছাত্রীদের লেখাপড়া খরচ চালাতে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বছরে তিনটি বৃত্তি প্রদান করে থাকে।
আসসালামু আলাইকুম।
আসসালামু আলাইকুম।
শিক্ষাই জাতির মেরুদন্ড। কাজেই সবার জন্য শিক্ষা অর্জন করা মানুষের মৌলিক অধিকার। এ অধিকারকে যথাযথভাবে বাস্তবায়নের মাধ্যমে বিশ্বের অনেক দেশ আজ উন্নত দেশ হিসেবে উন্নতির চরম শিখরে আরোহণ করেছে। এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশ তার কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য অর্জনে সাধ্যমত চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। যুগের সাথে সংগতিপূর্ণ বিকাশের জন্য আমরা প্রত্যেকেই ভাবি নিজ নিজ সন্তানদের নিয়ে। প্রকৃতির সন্তান মানব শিশুকে পরিশুদ্ধ হতে হয়, পরিপুর্ণ হতে হয় স্বীয় সাধনায়। এ ক্ষেত্রে শিক্ষাই হলো আমাদের মূলমন্ত্র। আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি শিক্ষার মৌলিক উদ্দেশ্য হলো আচরণের কাঙ্ক্ষিত পরিবর্তন। আর এ লক্ষ্যে তাদেরকে সৃজনশীল, স্বাধীন, সক্রিয়, সৎ এবং দায়িত্বশীল সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তোলা। এ জন্য প্রয়োজন যোগ্য শিক্ষকমন্ডলী এবং উপযুক্ত শিক্ষাদান পদ্ধতির সমন্বয়ে একটি শিক্ষাবান্ধব পরিবেশ। আমি বিনয়ের সাথে দাবী করি, রাজ টেক্সটাইল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে এসব কিছুর সমন্বয় ঘটানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। শিক্ষার্থীদের মজ্জাগত প্রতিভার সহজ বিকাশের জন্য প্রতিষ্ঠানটিতে রয়েছে সাধারণ শিক্ষার পাশাপাশি কম্পিউটার শিক্ষা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, খেলাধুলাসহ নানাবিধ শিক্ষা। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (Information and Communication Technology-ICT) মানুষের জীবন ধারণের পদ্ধতিকে বদলে দিয়েছে- জীবনকে করেছে সহজ ও আনন্দময়। শিক্ষাক্ষেত্রেও তথ্য ও যোগযোগ প্রযুক্তি যোগ করেছে নতুন মাত্রা। আইসিটি স্থান করে নিয়েছে গ্রামের বিদ্যালয়ের সেই ছোট্ট শ্রেণিকক্ষেও - যেখানে শিক্ষার্থীরা বই-খাতার পাশাপাশি কম্পিউটার ও শিখতে শুরু করেছে। জাতীয় শিক্ষানীতি ২০১০-এর আলোকে আধুনিক জ্ঞান-বিজ্ঞান এবং সকল ক্ষেত্রে তথ্য ও যোগযোগ প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে নতুন প্রজন্মকে ডিজিটাল বাংলাদেশের যোগ্য রূপকার হিসাবে গড়ে তোলে ‘‘ভিশন ২০২১’ বাস্তবায়নের জন্য এই ওয়েবসাইট অত্যন্ত সহায়ক ভূমিকা পালন করবে বলে আমি বিশ্বাস করি।